মেটা প্ল্যাটফর্মে ক্ষ.তিকর কনটেন্ট বৃদ্ধির আশঙ্কাজনক চিত্র, সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিউজ ফ্রন্ট, ১৯ জুন: মেটার নীতি শিথিলকরণের পর ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও থ্রেডসে ক্ষতিকর কনটেন্টের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে বলে এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ৭,০০০ সক্রিয় ব্যবহারকারীর ওপর পরিচালিত এই সমীক্ষায় উদ্বেগজনক চিত্র ফুটে উঠেছে।

ডিজিটাল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলির পরিচালিত এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি ছয়জনে একজন উত্তরদাতা মেটা প্ল্যাটফর্মে লিঙ্গভিত্তিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। আরও উদ্বেগের বিষয় হল, ৬৬ শতাংশ ব্যবহারকারী জানিয়েছেন যে তারা ঘৃণাত্মক বা সহিংস কনটেন্ট প্রত্যক্ষ করেছেন।

সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী:

  • ৯২ শতাংশ ব্যবহারকারী এই ধরনের ক্ষতিকর কনটেন্টের ক্রমবর্ধমান প্রকাশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন
  • ৭৭ শতাংশ ব্যবহারকারী বলেছেন যে তারা এখন অবাধে নিজেদের মত প্রকাশ করতে কম নিরাপদ বোধ করছেন

মেটা যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং বন্ধ করে দিয়ে এবং তার মডারেশন নীতিগুলি শিথিল করার পর থেকে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এই নীতি পরিবর্তন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়েছে। এটি মেটার পূর্ববর্তী কনটেন্ট মডারেশন মানদণ্ড থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পশ্চাদপসরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মেটা দাবি করলেও যে নীতি লঙ্ঘনের হার কম রয়েছে, মানবাধিকার সংস্থাগুলি সিইও মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে দুর্বল ব্যবহারকারীদের পরিত্যাগ করার অভিযোগ তুলেছে। তারা দাবি করছে:

  • একটি স্বাধীন অডিট পরিচালনা করা হোক
  • কঠোর কনটেন্ট মডারেশন পদ্ধতি পুনরায় চালু করা হোক

সমীক্ষার এই ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে মেটা। সংস্থাটির এই নীরবতা ব্যবহারকারীদের মধ্যে আরও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরাপত্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে এই সমীক্ষার ফলাফল নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্ল্যাটফর্মগুলিকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *